• বৃহঃ. মার্চ ৩০, ২০২৩

অতিরিক্ত সময়ের গোলে ওয়েলসের বিপক্ষে ইরানের নাটকীয় জয়

নভে ২৫, ২০২২

অতিরিক্ত সময়ের গোলে ওয়েলসের বিপক্ষে ইরানের নাটকীয় জয়

ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে জোড়া গোল করে ওয়েলসের বিরুদ্ধে

২-০ গোলে নাটকীয় জয় পেয়েছে ইরান। অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই

ইরানের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এলেও তাতে বাধ সেধেছিল প্রযুক্তি।

এরপরও ইরানের জন্য এসেছিল গোলের সুযোগ, কিন্তু বারবার

গোলবারে বল লেগে বল গিয়েছে মাঠের বাইরে। তার ওপর আজ

দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন ওয়েলসের ৩৫ বছর বয়সী গোলকিপার

ওয়েইনি হেনেসিয়ে। যদিও তাকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।

বিশ্বকাপে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে লড়েছিল

আজ দুই দলই। তাতে জয়টা এসেছে ইরানিদেরই।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় কাতারের আহমেদ বিন আলি

স্টেডিয়ামে বি গ্রুপের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল

ইরান ও ওয়েলস। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলল দল দু’টি।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে খেলতে শুরু করে

ওয়েলস। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই মিডফিল্ডার উইলসনের পাসে ডি বক্সের

বাইরে থেকে গোল বরাবর লম্বা কিক নেন উইলিয়ামস।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বারের ওপর দিয়ে চলে যায় শটটি।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ইরান জবাব দেয়ার চেষ্টা করে; মেহদি তারেমির দুর্বল

পাসে শট নেন সর্দার আজমাউন। তবে গোলকিপার হোসেইনির হাতে বন্দি হয় বল।

১২ মিনিট সময়ে গোলের সুযোগ তৈরি করেন কিফার মুরে।

ডান দিক থেকে একটি শট নেন বোর্নমাউথ স্ট্রাইকার। তবে দ্রুত রিফ্লেক্স দেখিয়ে বল ক্লিয়ার করেন হোসেইনি।

তবে প্রথম ১০ মিনিটে ওয়েলস এত দাপট দেখালেও খেলা গুছিয়ে আনতে

শুরু করে ইরান। ১৫ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে

ইরানের। গোলপোস্টের সামনে থেকে ক্লোজ রেঞ্জে ওয়েলসের

গোলকিপার ওয়েইনি হেনেসিয়েকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে ঢোকান ইরানের

স্ট্রাইকার গোলিজাদে। কিন্তু ভিএআরে গোলটি অফসাইড প্রমাণিত হওয়ায় তা বাতিল হয়ে যায়।

ম্যাচের ২২ মিনিট সময়ে একটি ফ্রি কিক পেয়েছিল ইরান। তবে ইরানি

স্ট্রাইকার আজমাউন হেডে গোল করার চেষ্টা করলেও বল জালে জড়াতে পারেননি।

পরে ৩১ মিনিটের মাথায় ওয়েলসও একটি ফ্রি কিক পেয়েছিল।

কিন্তু গ্যারেথ বেলের কিক আটকে দেন ইরানি ডিফেন্ডাররা।

নির্ধারিত ৪৫ মিনিট ও অতিরিক্ত চার মিনিটেও গোলের দেখা পায়নি দুদল।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলা আরো উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। ৫২ মিনিটের মাথায়

ওয়েলসের ডি বক্সে ঢুকে গোল করার চেষ্টা করেন আজমাউন

ও গোলিজাদে। কিন্তু তাদের যৌথ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।

৭৩ মিনিটের মাথায় আবার গোল করার সুযোগ পান ইরানের

অ্যাজাতোলাহি। বক্সের বাইরে থেকে শট নেন এই মিডফিল্ডার।

কিন্তু এই গোলটিও আটকে দারুণ সেইভ দেন ওয়েইনি।

গোটা ম্যাচজুড়ে বেশ ভালোভাবেই গোলবার সামলাচ্ছিলেন ওয়েইনি।

কিন্তু ৮৪ মিনিটের মাথায় মেহদি তারেমিকে ফাউল করায় লাল কার্ড

দেখেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় গোলকিপার হিসেবে লাল কার্ড দেখলেন এই ওয়েলস গোলকিপার।

এরপর গোলশূন্য খেলা গড়ায় ইনজুরি টাইমে। আর এই ইনজুরি টাইমেই

ইরান পেয়ে যায় তাদের আকাঙ্ক্ষিত গোল। ডি বক্সের বাইরে থেকে

ডিফেন্ডার রেজুবে চেসমির আচমকাই নেয়া এক শটে ওয়েলসের জালে জড়ালে এগিয়ে যায় ইরান।

অবশ্য খেলা এখানেই শেষ হয়নি; তিন মিনিট পরই স্ট্রাইকার

মেহদি তারেমির বাড়ানো বলে গোল করেন রামিন রাজাইন। ফলে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জয় পেল ইরান।

উল্লেখ্য, এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৬-২ গোলে হেরেছিল ইরান।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ম্যাচটি ড্র করেছিল ওয়েলস।

আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন