আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব
রুশ পার্লামেন্টের স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের
(আইসিসি) কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির
পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।
ভোলোদিন পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়ার আইন
সংশোধন করে দেশটিতে আইসিসির যেকোনো ধরনের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করতে পারে।
এর সঙ্গে যদি কেউ যুক্ত থাকেন বা আইসিসিকে সমর্থন করেন, তবে তাঁকে শাস্তি দিতে হবে।
বার্তা আদান-প্রদানকারী অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় ভোলোদিন বলেন,
‘আমাদের ভূখণ্ডে আইসিসির কোনো কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করতে আইনে সংশোধনী
আনতে হবে।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের আইন রয়েছে। রাশিয়ারও এ কাজ করতে হবে।
পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়,
ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলগুলো থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায়
সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে পুতিন জড়িত রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে
ওই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রাশিয়ার কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন,
পুতিনকে গ্রেপ্তারে যেকোনো পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।
ক্রেমলিন দাবি করে আসছে, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আপত্তিকর
একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত। এর কোনো তাৎপর্য নেই রাশিয়ার কাছে।
‘বাখমুতের পরিস্থিতি স্থিতিশীল’
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের বাখমুত শহরে গত গ্রীষ্ম থেকে
এ পর্যন্ত ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। এ মাসের শুরুতে
পশ্চিমা কর্মকর্তারা এমন হিসাব দিয়েছেন। ইউক্রেনের কমান্ডার ইন চিফ
ভালেরি জালুঝনিয়ে বলেছেন, তাঁদের সেনারা জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।
যদিও মস্কো জয়ের জন্য আশাবাদী। সেনাবাহিনীর বিশ্লেষণ বলছে, কৌশলগতভাবে
বাখমুত খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাখমুতের গুরুত্ব এখন অনেকটাই প্রতীকী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জালুঝনিয়ে বলেছেন,
সেনাবাহিনীর অব্যাহত প্রচেষ্টার কারণে বাখমুতের পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল।
যুক্তরাজ্যের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অ্যাডমিরাল সার টনি রাডাকিনের সঙ্গে ইউক্রেন
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল জালুঝনিয়ে ফেসবুকে এই পোস্ট দেন।
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের স্থলবাহিনীর কমান্ডার ওলেকসান্দর সিরস্কি বলেন,
বাখমুতের কাছে রুশ সেনারা অবসন্ন হয়ে পড়েছেন। সিরস্কি বলেন, লোকবল
ও যুদ্ধের সরঞ্জামের অভাব থাকলেও রুশ সেনারা বাখমুতের আশা ছাড়েননি।
তিনি বলেন, ‘কিয়েভ, খারকিভ, বালাক্লিয়া ও কুপিয়ানস্কের মতো শিগগিরই আমরা বাখমুত থেকে সুবিধা পাব।’
এ সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বাখমুত সফর করেন।
ফুটেজে দেখা গেছে পুরোনো একটি গুদামে দাঁড়িয়ে তিনি সেনাদের মেডেল দিচ্ছেন।
যুদ্ধ শুরুর আগে বাখমুতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।
এখন তাঁদের মধ্যে মাত্র কয়েক হাজার বাসিন্দা রয়েছে।
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন