সাভার প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় নারী সহকর্মীকে গণধর্ষণ এর অভিযোগে বেসরকারি সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান জিফোরএস এর দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার
করেছে পুলিশ।
এঘটনায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়ার বুড়ির বাজার এলাকায় অভিযান
পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর রাত পৌণে ৯ টা থেকে রাত মাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।
গ্রেপ্তাররা হলেন- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার পেগইল মধ্যপাড়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মো. ফেরদৌস খন্দকার (৩৮) ও দিনাজপুর জেলার
পারবর্তীপুর থানার খোপতল গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মাসুদ আবেদীন (৩০)।
তাদের একজন একই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী ও অপরজন কর্মকর্তা বলে জানা গেছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী ডিইপিজেড এরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের নারী নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করেন।
এই সুবাদে বুড়িরবাজার এলাকায় কোম্পানীর মেসে অন্যান্য নারী সহকর্মীদের সাথে থাকতে হয়।
গত ৬ অক্টোবর ঝগড়ার একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন একই মেসের অপর নারী নিরাপত্তাকর্মী।
পাশেই দারা মিয়ার বাসার নিচতলা ভাড়া নিয়ে একই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মকর্তারা বসবাস করায় সেখানে গিয়ে মোবাইল ভাঙার বিচার দেন ভুক্তভোগী। এসময় তার অন্যান্য সহকর্মীকে সাথে নিয়ে তাদের কক্ষে যেতে বলেন।
ভুক্তভোগী কথা মতো তাদের কক্ষে গেলে মোবাইল ভাঙ্গার বিচার করে দেন।
একই সাথে ভুক্তভোগীকে বাদে অন্যান্যদের চলে যেতে বলেন।
পরে কৌশলে দরজা আটকে দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা।
এঘটনায় ভুক্তভোগী অসুস্থ হলে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে
৭ অক্টোবর সকালে মামলা দায়ের করলে রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ফার্মেসী ব্যবসায়ী বলেন,
ঘটনার দিন অজ্ঞান অবস্থায় ওই নারীকে তার ফার্মেসীতে আনা হয়।
পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। এব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাশিদ বলেন, এঘটনায় মামলা
দায়ের হয়েছে। আমরা অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তারও করেছি। আগামীকাল তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
একই সাথে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ
ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।