• শুক্র. জুন ৯, ২০২৩

এবারের বিশ্বকাপে যা কিছু প্রথম

নভে ২০, ২০২২

এবারের বিশ্বকাপে যা কিছু প্রথম

প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল।

বিশ্বকাপের ২২তম আসর বসেছে কাতারে। আজ থেকে

শুরু হওয়া এ আসর চলবে ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত।

কাতার বিশ্বকাপের এ আসরেই শেষ বারের মতো অংশ নিচ্ছে

৩২টি দল, আগামী ২০২৬ সাল থেকে এই সংখ্যা হয়ে যাবে ৪৮।

আগে কখনো বিশ্বকাপে না খেলেই বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে কাতার।

এর আগে কখনো ফুটবল বিশ্বকাপ না খেলেই হোস্ট করা সর্বশেষ দেশ

ছিল ইতালি, তাও আবার ১৯৩৪ সালে। যা ফুটবল ইতিহাসের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ।

একমাত্র প্রথম আসরে অর্থাৎ ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপে এক শহরেই

বিশ্বকাপের সব ম্যাচ হয়েছিলো। ৯২ বছর পর এসে আবারো তেমনটি

হতে যাচ্ছে। এবার কাতারের দোহা শহরেই অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচ।

দোহা শহরের একমাত্র খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামকেই

সংস্কার করে নতুন রুপ দেয়া হয়েছে, বাকি সাতটি স্টেডিয়াম

বিশ্বকাপের জন্যই নতুন করে তৈরি করা হয়েছে।

এবারের বিশ্বকাপের বলের নাম হলো ‘আল রিহলা’। এটি তৈরি করেছে

ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। আরবি শব্দ আল রিহলা-র অর্থ দ্য জার্নি অর্থাৎ যাত্রা।

এই বিশ্বকাপে ম্যাসকটের নাম রাখা হয়েছে ‘লায়িব’।

আরবি এই শব্দের অর্থ হলো দারুণ দক্ষ খেলোয়াড়। সাদা রঙের কাতারি

পোশাক পরা কিশোরের আদলে তৈরি লায়িবের সামনে রয়েছে একটি বল।

প্রথমবারের মতো শীতকালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল।

সচরাচর অনুষ্ঠিত হয় বছরের মাঝামাঝি সময়। কিন্তু কাতারের

প্রচণ্ড গরমের কারণে এবার সময়টা বদলাতে হয়েছে।

সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে কাতার।

যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে কাতারের খরচ হয়েছে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন

মার্কিন ডলার! বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ লাখ কোটি টাকা।

এবারের বিশ্বকাপের খরচের পরিমাণ বিগত আটটি বিশ্বকাপের

মধ্যে সবচেয়ে বেশি। শুধু বেশি বললে ভুল হবে, গত ২০১৮ রাশিয়া

আসরের চেয়ে ২২ গুণ বেশি অর্থ খরচ হচ্ছে এবারের আসরে।

এবারের কাতার বিশ্বকাপে প্রতি গ্রুপে চারটি করে আটটি গ্রুপে অংশ

নিচ্ছে মোট ৩২টি দল। তবে আগামী ২০২৬ সাল থেকে এ সংখ্যা হয়ে যাবে ৪৮টি।

এবারের বিশ্বকাপের সবগুলো স্টেডিয়ামই সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত।

বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে যা সর্বপ্রথম।

১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা মাত্র ছয়টি স্টেডিয়াম নিয়ে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন

করেছিল। এর চেয়ে কম স্টেডিয়াম নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের নজির নেই।

বিশ্বকাপ আয়োজক দেশগুলোর মধ্যে কাতার সবচেয়ে ছোট দেশ।

কাতারের সবগুলো স্টেডিয়াম ৫৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে অবস্থিত।

আগের সব বিশ্বকাপের চেয়ে এবারের টিকেটের মূল্য হবে বেশি।

ফাইনালের সবচেয়ে দামি টিকেটটির মূল্য পাঁচ হাজার

৮৫০ রিয়াল, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় এক লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন