কাতার বিশ্বকাপে যেভাবে না থেকেও আছে বাংলাদেশ
আজ বেজে উঠেবে বিশ্বকাপ ফুটবলের দামামা।
স্বাভাবিকভাবেই মাঠের খেলায় নেই বাংলাদেশ। তবে একেবারেই
যে নেই তা বলা যাবে না! ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’খ্যাত বিশ্বকাপে
বাংলাদেশ ফুটবল দল না থাকলেও নাম থাকছে দেশের।
কারণ কাতার বিশ্বকাপ সফল করতে কাজ করছেন বাংলাদেশীরাও।
বিশ্বকাপ আয়োজনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম।
এছাড়া আরো অনেকভাবে কাতার বিশ্বকাপে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম।
বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকদের অবদান: কাতারে অবকাঠামো
উন্নয়ন ও বিশ্বকাপের জন্য নির্মিত আটটি স্টেডিয়াম নির্মাণে অবদান
রাখার কারণে ইতোমধ্যে কাতার সরকার ১১৯টি দেশের ফ্ল্যাগ দিয়ে
‘ফ্ল্যাগ প্লাজা’ বানিয়েছে, সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ঘাম ঝরানো
শ্রমে বাংলাদেশের পতাকাও স্থান পেয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকদের মর্যাদার প্রতিদান দিয়েছে কাতার।
ভলেন্টিয়ার: কাতার বিশ্বকাপে ভলান্টিয়ারদেরকে বলা হচ্ছে
‘দ্য হার্ট অব দ্য টুর্নামেন্ট’। যেখানে ফিফার অফিসিয়াল ভলেন্টিয়ার
হিসেবে প্রায় চার শ’র অধিক বাংলাদেশী ভলেন্টিয়াররা বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
ডা. আয়েশা পারভিন: কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু ৯৭৪ স্টেডিয়ামে
বিশ্বকাপ খেলা চলাকালীন মাঠের প্রধান চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব
পালন করবেন বাংলাদেশী নারী চিকিৎসক আয়েশা পারভিন।
এর আগে ২০২১ সালে ফিফা আরব কাপে ৯৭৪ স্টেডিয়ামে ফিজিশিয়ান হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি।
প্রকৌশলী ওয়াশিকুর রহমান: কাতার বিশ্বকাপ মোট আটটি ভেন্যুটি অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে আল-রাইয়ান শহরে অবস্থিত ‘অ্যাডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম’ অন্যতম।
যে স্টেডিয়ামের সাথে জড়িত রয়েছে বাংলাদেশের নামও।
কারণ স্টেডিয়ামটি নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের
নীলফামারীর সন্তান কাতারপ্রবাসী প্রকৌশলী ওয়াশিকুর রহমান শুভ।
তিনি এর নির্মাণকাজে কাঠামোগত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মোহাম্মদ শিয়াকত আলি: কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনায়
নিযুক্ত রেফারিদের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করবেন বাংলাদেশেরই
এক সন্তান মোহাম্মদ শিয়াকত আলী। তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া
উপজেলার মরিয়ম নগরের বাসিন্দা। তিনি কাতারের ফুটবল জগতে
বাঙালি কুরা হাকাম মুহাম্মদ শেখ আলি নামে বেশি পরিচিত।
কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে সহকারী রেফারি হিসেবে কাজ করা
বাংলাদেশের শিয়াকত আলী এরই মধ্যে পরিচালনা করেছেন ঘরোয়া ফুটবলের প্রায় চার হাজার ম্যাচ।
আট হাজার চালক: ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর প্রায় এক মাস ধরে
চলবে কাতারে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ আসর। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন
দেশ থেকে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কাতার সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফুটবল ভক্তদের কাতারে স্বাগত জানাতে যেসব কর্মী নিযুক্ত থাকবেন,
তাদের মধ্যে গাড়িচালকেরাও আছেন। বিভিন্ন ট্যাক্সি কোম্পানি
ও রাইড শেয়ারিং কোম্পানিতে কর্মরত গাড়িচালকদের মধ্যে প্রায়
আট হাজার বাংলাদেশী আছেন। ইতোমধ্যে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
সামনে রেখে বাংলাদেশী গাড়িচালকদের ভাষাগত দক্ষতা ও আদবকেতা
সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাই তারাও প্রস্তুত বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে।
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন