ক্ষিপ্র গতিতে’ ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানের জন্য আলোচনা চলছে : ইউক্রেন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের একজন শীর্ষস্থানীয় সহযোগী শনিবার বলেছেন,
ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা আক্রান্ত দেশটিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং
সামরিক বিমান দিয়ে সজ্জিত করার সম্ভাবনা নিয়ে অতি ‘ক্ষিপ্র গতিতে’ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক
বলেছেন, ইউক্রেনের পশ্চিমা সমর্থকরা ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,
তা বুঝতে পেরেছেন’ এবং প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেই যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি এই
মাসের শুরুতে সাঁজোয়া যুদ্ধ যানকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম বিমান সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
অনলাইন ভিডিও চ্যানেল ফ্রিডমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পোডোলিয়াক
বলেছেন, কিয়েভকে ক্রমবর্ধমান অত্যাধুনিক অস্ত্র পাঠানোর খবর পাওয়ার
পর রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া পশ্চিমের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধকে
দীর্ঘায়িত করার এবং সরাসরি ভূমিকা নেয়ার অভিযোগ এনেছে।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে ৩১টি এম-ওয়ান
আব্রামস ট্যাঙ্ক পাঠাবে। যদিও, ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কয়েক মাস ধরে যুক্তি
দেয়া হয়েছিল যে- এই ট্যাঙ্ক পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের পক্ষে খুব কঠিন হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের পর, রাশিয়ার ক্রোধের তোপে একতরফা পদক্ষেপ নেয়া
নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসা জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজও জার্মানির তৈরি
১৪টি লেপার্ড-টু ট্যাঙ্ক পাঠাতে এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের স্টক
থেকে কিছু লেপার্ড-টু ট্যাঙ্ক পাঠানোর অনুমতি দিতে রাজি হন।
দুই দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টার এই খবর পেয়ে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র, বিস্ফোরণযোগ্য
ড্রোন এবং আর্টিলারি শেল দিয়ে ইউক্রেনে উপুর্যুপুরি বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
শনিবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক প্রদেশের কোস্ত্যন্তিনিভকা শহরে ক্রমাগত আঘাত করে।
দোনেৎস্ক প্রদেশের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো একটি
আবাসিক এলাকায় গিয়ে পড়ে। এতে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হযন,
১৪ জন আহত হন এবং চারটি সুউচ্চ ভবন, একটি হোটেল এবং গ্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী তাদের শনিবার সকালের হালনাগাদ তথ্যে জানিয়েছে,
রাশিয়ার বাহিনী বাখমুত এবং দক্ষিণে ডোনেটস্কের আরেকটি শহর আভদিভকার
আশপাশে স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি, ইউক্রেনের
সৈন্যরাও দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, রুশ সৈন্যরা ডোনেটস্কের উত্তরে
লুহানস্ক এবং খারকিভ প্রদেশের লিম্যানের কাছে, পাশাপাশি
দক্ষিণে খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া প্রদেশে ‘আত্মরক্ষা করছে’।
গত কয়েক মাস ধরে যুদ্ধটি মূলত স্থবির অবস্থার মধ্যে রয়েছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে,
স্থল অভিযান বেশ শ্লথ হয়ে গেছে এবং কোনো পক্ষই তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতির খবর দেয়নি।
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন