গোল করায় এই ব্রাজিল ভয়ংকর
লুসাইল স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত একটায় সার্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল।
এই ম্যাচ দিয়েই কাতার বিশ্বকাপে ‘হেক্সা’ (ষষ্ঠ শিরোপা) জয়ের অভিযাত্রা শুরু করবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
তিতের আক্রমণভাগ নিয়ে এবার দুশ্চিন্তা করতে হবে প্রতিপক্ষ দলগুলোর।
এবার ইউরোপিয়ান ক্লাব মৌসুম শুরুর পর থেকে বিশ্বকাপের
আগপর্যন্ত ব্রাজিলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়েরাই সবচেয়ে বেশি
গোল করেছেন। এমনকি এ সময় সবচেয়ে বেশি গোল করা খেলোয়াড়টিও ব্রাজিলের।
আক্রমণভাগে ৯ ফরোয়ার্ড রেখে বিশ্বকাপ স্কোয়াড গড়েছেন ব্রাজিল কোচ তিতে।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, এই ৯ ফরোয়ার্ড মিলে
ক্লাব ফুটবলে মোট ৭২ গোল করেছেন, যা বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া
বাকি দেশগুলোর খেলোয়াড়দের সঙ্গে তুলনায় সর্বোচ্চ।
বিশ্বকাপের আগে এই মৌসুমে ব্রাজিলের যে পাঁচ খেলোয়াড়
সর্বোচ্চ গোল করেছেন, তাঁদের গোলগুলো যোগ করলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৫৮।
ফ্রান্স এই তালিকায় ৫৫ গোল নিয়ে দুইয়ে। ৪৪ গোল নিয়ে
তিনে নেদারল্যান্ডস এবং ৪১ গোল নিয়ে চারে আর্জেন্টিনা।
তবে এই মৌসুমে পোল্যান্ডের পাঁচ খেলোয়াড় মিলেও ক্লাব ফুটবলে ৪১ গোল করেছেন।
ফ্লামেঙ্গোর ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার পেদ্রো করেছেন ২১ গোল।
১৫ গোল নিয়ে দুইয়ে নেইমার, ১০ গোল নিয়ে তিনে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও ৭ গোল নিয়ে চারে রদ্রিগো।
ব্রাজিলের শীর্ষ পাঁচ গোলদাতার এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে আন্তোনি,
গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও গ্যাব্রিয়েল জেসুসের মধ্যে যেকোনো একজনকে
রাখতে হবে। তিনজনই সমান ৫টি করে গোল করেছেন।
এই হিসেবে ব্রাজিলের গোলসংখ্যা ৫৮। তবে ফ্লামেঙ্গো স্ট্রাইকার
পেদ্রোর গোলসংখ্যা হিসাব করা হয়েছে জুলাই থেকে।
ব্রাজিলের এক ক্যালেন্ডার মৌসুম ধরলে সেটি ২৯ হবে।
ফ্রান্সের ৫৫ গোলে অবদান যে শীর্ষ পাঁচ ফরোয়ার্ডের—কিলিয়ান এমবাপ্পে,
মার্কাস থুরাম, অলিভিয়ের জিরু, কোলো মুয়ানি ও আঁতোয়ান গ্রিজমানের।
তাঁদের মধ্যে ১৯ গোল নিয়ে শীর্ষে পিএসজি তারকা এমবাপ্পে।
ব্যক্তিগত গোলের তালিকায় পেদ্রোর পরের অবস্থান এমবাপ্পের।
১৮ গোল নিয়ে ব্যক্তিগত এই তালিকার তিনে পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানডফস্কি।
যুক্তরাস্ট্রের হেসুন ফেরেইরার গোলসংখ্যাও ১৮।
ক্যামেরুনের এনসামে ১৬ গোল নিয়ে পাঁচে।
অর্থাৎ ক্লাব ফুটবলে গোলের মহড়া দিয়ে এবার কাতার বিশ্বকাপে
গোলের পর গোল করতে প্রস্তুত ব্রাজিলের আক্রমণভাগ।
উইঙ্গার রাফিনিয়া জানিয়েছেন, গোলের পর উদ্যাপন কেমন হবে,
সেসবও ঠিক করে রাখা আছে, ‘সত্যি বলতে, আমরা প্রতি ম্যাচের জন্য
অন্তত ১০টি করে নাচ ঠিক করে রেখেছি। প্রথম গোলে এই নাচ,
পরেরটায় ওটা, তার পরেরটায় আরেকটি নাচ—এভাবে ১০টি গোল হওয়া
পর্যন্ত নাচ ঠিক করা আছে। ১০টির বেশি হয়ে গেলে নতুন কিছু ভাবতে হবে।’
প্রতিপক্ষ সাবধান, ব্রাজিল আসছে!
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন