চীনের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমকে দমনের অভিযোগ
বিশ্বব্যাপী নিজেদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার জন্য চীন মিডিয়া ও
সমালোচনামূলক প্রতিবেদনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং
সেই সঙ্গে সাংবাদিকদেরকেও ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ
করেছে, মার্কিন থিংক ট্যাংক ফ্রিডম হাউস কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) চীনে ইতিমধ্যে মিডিয়া
প্রতিবেদনগুলো যাচাই বাছাই করে প্রকাশের অনুমতি
দিচ্ছে এবং এভাবেই তারা চীনের অভ্যন্তরীণ সংবাদ মাধ্যমগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে।
প্রতিবেদনে উঠে আসে চীনের শাসন নিয়ে সমালোচনাকারী
এক বিদেশি সাংবাদিককে ঠিক কিভাবে চীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় করার চেষ্টা করেছে।
২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্ট
দ্বারা পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা যায়,
চীন বিশ্বব্যাপী মিডিয়া কভারেজে তার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার
করতে করোনাকালীন সময় উল্লেখযোগ্য সুবিধা গ্রহণ
করেছে। বিদেশের সংবাদ মাধ্যমে চীনের অংশীদারত্ব আগে ৬৪ শতাংশ ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে ৭৬ শতাংশ হয়েছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের আগ্রাসনের কারণে এবং
মার্কিন-চীন যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় বর্তমান পশ্চিমা-
নেতৃত্বাধীন উদারপন্থী বিশ্ব ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করার
চেষ্টায় রয়েছে চীনের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি, যা বিশ্বজুড়ে মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
চীন সংবাদ মাধ্যমগুলোকে নিজের আয়ত্বে আনার জন্য মোটা অংকের টাকা খরচ করছে।
২০২১ সালের মে মাসে, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্টের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সেখানে তথ্য পাওয়া যায় যে চীন কীভাবে কোভিড-১৯ ও জিনজিয়াং প্রদেশ সম্পর্কে তথ্য লুকাতে চেয়েছে।
জিনজিয়াং প্রদেশে চীন কর্তৃক সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন
এবং কোভিড-১৯ মহামারীটির সময় অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি
হংকংয়ে বিক্ষোভ দমনের মতো নানা কারণে ২০১৯ সালের পরে চীনের বৈশ্বিক ধারণার অবনতি ঘটে।
তাছাড়াও বর্তমানে চীন সরকার শূন্য কোভিড নীতির নামে
জনগণকে হেনস্তা করছে। ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে লকডাউন,
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি ও জনগণের উপর ব্যাপক পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন