• শুক্র. জুন ৯, ২০২৩

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল উইন্ডিজ

অক্টো ২০, ২০২২
হারিয়ে

স্কটল্যান্ডের কাছে লজ্জার হারে শুরুর পর টি২০ বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিততেই হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

আর বোলারদের নৈপুণ্যে ৩১ রানের জয়ে সেই কাজটাই করেছে নিকোলাস পুরানের দল। বুধবার হোবার্টে আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা এই ম্যাচে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৩ রান করে ক্যারিবীয়রা।

জবাবে ১৮.২ ওভারে ১২২ রানে অলআউট হয় রেগিস চাকাভা, সিকান্দার রাজাদের জিম্বাবুয়ে। মাত্র ১৬ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন উইন্ডিজ পেসার আলজারি জোসেফ।

একই ভেন্যুতে দিনের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের (১৭৬/৫) বড় রান তাড়া করে ৬ উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে আয়ারল্যান্ড (১৮০/৪; ১৯ ওভার)।

আন্তর্জাতিক টি২০তে পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন জর্জ ডকরেল ও কার্টিস ক্যাম্পার। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুজনে তুলেছেন ১১৯ রান।

বোলিংয়ে ২ উইকেট এবং ব্যাট হাতে অপরাজিত ৭২ রান করে ম্যাচসেরা ক্যাম্পার। দুটি করে ম্যাচ শেষে একটি করে জয়ে উন্মুক্ত বি- গ্রুপের লড়াইটা আক্ষরিকই জমে উঠল।

অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপে প্রথম পর্বের (এ- গ্রুপে) উদ্বোধনী ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বড় অঘটন ঘটনায় নামিবিয়া। আর বিÑ গ্রুপে রেকর্ড দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজকে থমকে দেয় স্কটিশরা।

ফলে সুপার টুয়েলভের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটা হয়ে ওঠে ডু অর ডাই। টস জিতে ব্যাটিং নেয়া ক্যারিবীয়দের উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার।

দশম ওভারে ১ উইকেটে ৭৭ রান তুলে নিয়েছিল পুরানের দল।

কিন্তু সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামসের স্পিন ম্যাজিকে মুহূর্তেই দৃশ্যপট বদলে যায়।

১০ বলের মধ্যে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৭ রান যোগ করতে টপঅর্ডারের ৪ উইকেট হারায় উইন্ডিজ! ১৪তম ওভারে তাদের

রান ৫ উইকেটে ৯৭, ৬ উইকেটে ১০১! আসরে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে ৩৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন  ওপেনার জনসন চার্লস।

কাইল মেয়ার্স ১৩। এরপরও নির্ধারিত ২০ ওভারে দলটির ৭ উইকেটে ১৫৩ রানের ফাইটিং স্কোরের রূপকার রোভমান পাওয়েল ও আকিল হোসেন।

১ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ রান করে ফেরেন পাওয়েল। আট নম্বরে নেমে ১৮ বলে ২ চারে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন আকিল।

স্পিনে রাজা মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩ ও পেসার মুজরাবানি ৩৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

বাছাই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এক আসর পর বিশ্বকাপে ফিরেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয় পাওয়া জিম্বাবুয়ে এই রান চেজ করার লক্ষ্যেই ব্যাটিংয়ে নেমেছিল।

পঞ্চম ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে তারা করে ৪৭ রান। কিন্তু ওয়েসলি মাদভেরে  (১৯ বলে ২৭) ও চাকাভা (৯ বলে ১৩) ফেরার পর দ্রুত বিপদে পড়ে আফ্রিকান দেশটি।

দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ উইন্ডিজের দিকে নিয়ে আসেন আলজারি জোসেফ, জেসন হোল্ডারা।

আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক রাজা ৮ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ রান করে আউট হন। মিডল অর্ডারে তিন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।

লুক জংওয়ে ২২ বলে ২৯ রানের ইনিংসে হারের ব্যবধান কমিয়েছেন মাত্র। জোসেফ ১৬ রানে ৪ ও হোল্ডার ১২ রানে নেন ৩ উইকেট।

ওদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চমক দেখানো রিচি বেরিংটনের স্কটল্যান্ড এদিন  আইরিশদের বিপক্ষে ১৭৬ রানের বড় স্কোর গড়ে নিশ্চই জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো।

৫৫ বলে ৬ চার ৪ ছক্কায় ৮৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন মাইকেল জোন্স।

ম্যাথু ক্রস ২১ বলে ২৮, বেরিংটন ২৭ বলে ৩৭ এবং মাইকেল লিস্ক ১৩ বলে করেন অপরাজিত ১৭ রান। লিটল ও এ্যাডেয়ার নেন ১টি করে উইকেট।

জবাবে দশম ওভারে ৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে নিভতে বসা আয়ারল্যান্ডের জয়ের বাতি জ্বালিয়ে রাখেন ক্যাম্পার।

বল হাতে মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট নেয়ার পর পাঁচে নেমে মাত্র ৩২ বলে ২ ছক্কা ও ৭ চারে খেলেন অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস।

ক্যাম্পার এই ইনিংসের পথে গড়েন দারুণ এক কীর্তি; টি২০ বিশ্বকাপে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার।

বিশ্ব মঞ্চে আইরিশদের আগের সেরা ইনিংস ছিল পল স্টার্লিংয়ের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়েকে হারানোর পথে ৬০ রান করেছিলেন এই ওপেনার।

আয়ারল্যান্ডের এই জয়ে অবদান কম নয় ডকরেলের। ১ ছক্কা ও ৪টি চারে ২৭ বলে ৩৯ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন তিনি।

ক্যাম্পারের সঙ্গে গড়েন ৫৭ বল ১১৯ রানের অপরাজিত জুটি। আন্তর্জাতিক টি২০তে পঞ্চম উইকেটে যা

জুটির বিশ্ব রেকর্ড। স্পর্শ করেন ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গড়া পাকিস্তানের মিসবাহ-উল-হক ও শোয়েব মালিকের আগের রেকর্ড।

আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন