জি-২০ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।
গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
জ্যাক সুলিভান এসব কথা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের
শিল্পোন্নত ২০টি দেশের এই জোটের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন আগামী
১৫ ও ১৬ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
মিসরে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক কপ-২৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান
শেষে বাইডেন কম্বোডিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময়
জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জি-২০ সম্মেলনে যোগদানের আগে কম্বোডিয়ায়
যুক্তরাষ্ট্র-আসিয়ান বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেবেন।
গত জুলাইতে যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন।
এর কয়েক মাস পর তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন সৌদি
নেতৃত্বাধীন ‘ওপেক প্লাস’ তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয়।
এতে নিজ দেশে তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি
নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টা ধাক্কা খায়।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি আরব।
ওয়াশিংটন বলছে, সৌদি আরব কার্যত রাশিয়ার পক্ষে কাজ করছে।
কারণ, উৎপাদন কমানোর ফলে বৈশ্বিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে
গেলে রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে রাশিয়া সুবিধা পাবে।
এ ঘটনায় সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রিসহ যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের
সহযোগিতা স্থগিতের আহ্বান জানান প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট সিনেটর
ও সিনেট ফরেন রিলেশন কমিটির ডেমোক্রেটিক চেয়ারম্যান বব মেনেন্দেজ।
তাঁর অভিযোগ, ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা ইউক্রেনে
যুদ্ধে কার্যত রাশিয়াকে সমর্থন করার নামান্তর।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে সৌদি আরব।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বলেছেন, ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হয়েছে।
একেবারেই অর্থনৈতিক কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন