ঢাবিতে রুম পরিবর্তনে দেরি করায় শিক্ষার্থীকে মারধর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে রুম পরিবর্তনে
দেরি হওয়ায় রাসেল মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে বেধড়ক
মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হল ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার
পর এদিন এলাকাভিত্তিক গ্রুপ আলাদা হয়ে যাচ্ছিল। ফলে শিক্ষার্থীদের
বিভিন্ন রুমে নতুন করে শিফট করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যে রুমে
থাকতেন সেই রুমে শিফট হয় অভিযুক্ত প্রান্ত। রাত সাড়ে ৮টায় রুমে
সবাই না থাকার কারণে রাসেল মাহমুদ কিছুটা দেরিতে রুম থেকে
বের হতে চেয়েছিল যাতে রুমের সবাই একসাথে বের হতে পারে।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রান্ত রুমে এসে দেরিতে বের হওয়ায় রাসেলের সাথে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়।
একপর্যায়ে হাতের কাছে রড পেয়ে তা দিয়ে রাসেলকে বেধড়ক মারতে থাকে।
মুখে থাপ্পড় দেয়। মারধরের কারণে রাসেল তার কোমরে আঘাত পায়।
পরে ঢাকা মেডিক্যালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয় রাসেল।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘আমি একটু দেরিতে
বের হওয়ার কথা জানালে তিনি (প্রান্ত) আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
এরপর রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। আমি হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করি।
আমার কোমর, হাত ও পিছনে রড দিয়ে বাড়ি দেয়। পরে বন্ধুরা এসে
আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসে।’
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, প্রান্ত খুবই উগ্র মেজাজের ছেলে।
প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বন্ধুদের সাথে ঝগড়া করে।
জুনিয়রদের মারধর করা এবং গভীর রাতে রুমে গিয়ে ঘুম থেকে
উঠিয়ে গালাগালি করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তবে মারধরের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে অভিযুক্ত মোনাফ প্রান্ত বলেন, ‘এরকম কোনো কিছুই হয়নি।
রাসেল আমার বন্ধু হয়। রুম নিয়ে জাস্ট একটু তর্কাতর্কি হয়েছে। পরে সিনিয়র ভাইরা এসে সমাধান করে দিছে।’
মারধরের বিষয়ে জানতে হল ছাত্রলীগ নেতা আবু ইউনুসের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।
পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন