রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশে এসেছেন গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী।
তাদের কেউ অটো রিজার্ভ করে কেউ আবার মোটর সাইকেলে এসেছেন। রংপুর নগরীর প্রবেশপথ সাতমাথায় এলে পুলিশ তাদের আটকে দেন।
নগরীতে অটো নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। মোটর সাইকেলে যেসব নেতা- কর্মী এসেছিলেন তাদেরও মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা দূরে একস্থানে রেখে বাধ্য হয়ে তারা পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে রওনা দেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা নগরীর তিনটি প্রবেশপথ মডার্ন মোড়, সাতমাথা ও মেডিকেল মোড়ে বাধা প্রাপ্ত হয়ে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসেন।
সাদুল্লাহপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম,
যুগ্ম আহবায়ক সুজন মিয়াসহ আরও কয়েকজন নেতাকর্মী অভিযোগ করে বলেন, নগরীর সাতমাথায় পুলিশ তাদের বাধা দিয়েছে।
অটোরিকশা ও মটর সাইকেলে করে তারা সামাবেশে যোগ দেয়ার জন্য এসেছেন। কিন্তু সাত মাথায় পুলিশ তাদের নামতে বাধ্য করায় পায়ে হেঁটে তারা সমাবেশে যোগ দেন।
সাত মাথা থেকে সমাবেশ স্থান ৫/৬ কিলোমিটার।
একই ঘটনা ঘটেছে নগরীর আরেক প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড রিকশা-অটো রিকশা, মটরসাইকেলসহ
বিভিন্ন বাহনে এই প্রবেশদ্বার দিয়ে মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়াসহ বিভিন্ন
এলাকার নেতাকর্মীরা প্রবেশ করছে। এখানেও নেতাকর্মীরা বাধার সম্মুখীন হন। তাদের অটো এবং মটর সাইকেল থেকে নামিয়ে দেয়া হয়।
ফলে ওই প্রবেশদ্বার দিয়ে আসা নেতাকর্মীদের পায়ে হেঁটে প্রায় ১০ কিলোটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে সমাবেশ স্থলে যেতে হয়।
পীরগঞ্জ থেকে আসা আব্দুল করিম নামে যুবদলের এক কর্মী বলেন, আমরা পীরগঞ্জ থেকে কয়েকশ নেতা-কর্মী অটোরিকশায় এসেছি।
মডার্ন মোড়ে আমাদের অটো রিকশা আটকে দেয়া হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় তল্লাশির নামে হয়রানি করা হচ্ছে।
যা মোটেও কাম্য নয়। এখান থেকে পায়ে হেঁটে আমাদের সমাবেশ স্থলে যেতে হচ্ছে। একই অবস্থা নগরীর আরেক প্রবেশদ্বার মেডিকেল মোড়।
এখানের কোনো অটো রিকশা কিংবা মোটর সাইকেল ঢুকতে দেয়া হয়নি। মেডিকেল মোড় থেকে নেতাকর্মীরা পায়ে হেঁটে সমাবেশ স্খলে যান।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আমাদের নেতা কর্মীদের যেভাবে তল্লাশির নামে হয়রানি করেছে তা মোটেও ঠিক করেনি।
আর আসতে বাধা দেয়ার ঘটনা এতো বলাই বাহুল্য সমাবেশের আগে ধর্মঘট দিয়েও যখন লোক ঠেকাতে পারছে না।
এখন তারা সমাবেশে আসতে প্রকাশ্যে বাধা দিচ্ছে। বাধা সত্ত্বে ও পায়ে হেঁটে, সাঁতরে, সাইকেল চালিয়ে, অটোতে করে শত কষ্ট সহ্য করে সমাবেশে এসেছে এখনো নেতাকর্মীরা আসছেন।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশ আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক আসাদুল
হাবিব দুলু জানান, আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জানতাম সমাবেশের আগে সরকার এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ধর্মঘট দেবে।
আমাদের নেতাকর্মীরা। এ ধর্মঘটকে পাত্তা না দিয়ে ইতোমধ্যে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী রংপুরে চলে এসে সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাসড়কে নসিমন, করিমন, অটোরিকশাসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ অন্যান্য দাবিতে শুক্রবার ভোর ৬ টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘটের দেয় রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি।
শনিবার সকাল থেকে নগরীতে অটো রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন