পগবার আসল চেহারা উন্মোচন করতে পুলিশকে ভিডিও সরবরাহ করেছেন তাঁর ভাই
পগবার বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ তথ্য উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁর ভাই ম্যাথিয়াস পগবা। এক ভিডিও বার্তায় তাঁর ভাই জানিয়েছিলেন,
বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি মিডফিল্ডার যে ‘কাপুরুষ, বিশ্বাসঘাতক ও ভণ্ড’, তা তিনি সবার সামনে তুলে ধরবেন। সে ঘটনার পরদিনই পল পগবা
করছিলেন অন্য অভিযোগ। এক বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।
ওই চক্রের সঙ্গে তাঁর বড় ভাই ম্যাথিয়াসও জড়িত।
এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পর পগবার ভাই ম্যাথিয়াসসহ আরও চারজনকে আটক করেছিল ফরাসি পুলিশ, যা নিয়ে এখনো তদন্ত
চলছে। তবে ম্যাথিয়াস পুলিশি হেফাজতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তাঁর মুখ বন্ধ রাখার জন্যই নাকি এই নাটক সাজিয়েছেন পগবা।
এই নাটক সাজানোর জন্য পুলিশকেও ব্যবহার করতে পারেন পগবা, এক ভিডিও বার্তায় ম্যাথিয়াস এমন দাবিও করেছেন। তাঁর নিজের কী
হবে, সে বিষয়ে তোয়াক্কা না করে, পগবার আসল চেহারা প্রকাশ করতেই ভিডিও করেছেন ম্যাথিয়াস, ‘আমার মুখ বন্ধ রাখার জন্য নতুন
উপায় বের করেছে পগবা, সে কারণেই এই ভিডিওটা করা। ও আমার মুখ বন্ধ রাখতে আমাকে সরাসরি আক্রমণ করতে পারে কিংবা আমার
প্রাপ্য জিনিস থেকে আমাকে বঞ্চিত করতেও পারে।’ ম্যাথিয়াস এরপর যোগ করেছেন, ‘ও পুলিশকেও ব্যবহার করতে পারে, আগেও ও এমন করেছে।
আর আমার মনে হয় আমি একা নই, যারা ওর আসল চেহারা প্রকাশ করতে পারে, এমন সবার মুখ বন্ধ করতে চায়। আমার যা হওয়ার হোক,
তবু পগবার আসল চেহারা সামনে আসুক।’
পুলিশের কাছে অভিযোগের সময়ে পগবা জানিয়েছিলেন, পেশাদার ফুটবলার হওয়ার পর পগবা তাঁর বন্ধুদের আর্থিকভাবে সহায়তা করেন না,
পগবার প্রতি এমন অভিযোগ ছিল বন্ধুদের।
১৩ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন সুরক্ষা দেওয়ার সুবিধা হিসেবে পগবাকে সেই রাতেই তাই ১ কোটি ৩০ লাখ ইউরো দিতে বলা হয়েছিল।
পগবার ভাইয়ের দাবি, শুধু বন্ধুদের নয়, পরিবারকেও
কোনো ধরনের সহায়তা করেন না বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি এ মিডফিল্ডার, ‘ওর জন্য আমার পরিবারকে অনেক ভুগতে হয়েছে। আশা করেছিলাম, ও ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু তা কিছুই হয়নি। সত্যি বলতে ও আরও খারাপ হয়েছে, আমার পরিবারের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। ও শুধু মানুষের সামনে নিজের মিথ্যা
ভাবমূর্তি দাঁড় করাতে ব্যস্ত। ও এক কোটি দিয়ে স্বর্ণ কিনতে পারে, অথচ সেই স্বর্ণের দামের ১ শতাংশও পরিবারকে দেয় না। এমনকি ওর পরিবারের মানুষ অসুস্থ থাকলেও।’