২০ বছর আগে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মেতেছিল লাতিন আমেরিকা। এরপর শুধু আর্জেন্টিনা একবার ফাইনালে যেতে পেরেছে।
কাতারে কি লাতিনদের দীর্ঘ আক্ষেপ ঘুচবে? ব্রাজিলিয়ান তারকা রিকার্ডো কাকা আশাবাদী। কাকা মনে করেন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দু’টি
দলেরই এবার বিশ্বকাপ জয়ের জোর সম্ভাবনা আছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে ২০০৭’র ব্যালন ডি’অরজয়ী
রিকোর্ডো কাকা বলেন, ‘আশা করি পারবে (ব্রাজিল অথবা আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় প্রসঙ্গে)। কিন্তু ইউরোপিয়ান দলগুলো অনেক ভালো।
আমাদের একটা সীমাবদ্ধতাও আছে। নেশনস লীগের জন্ম হওয়ার পর ইউরোপের বড় দলগুলোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ হচ্ছে না
আমাদের। বিষয়টি লাতিন আমেরিকার দলগুলোকে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দিচ্ছে। কারণ, লাতিনে ব্রাজিল প্রায় সব ম্যাচই জেতে।
জাতীয় দল হিসেবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এটি এক ধরণের প্রতিবন্ধকতা। যদিও দুটি দলই (ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা) বিশ্বকাপে ভালো করছে।
তাদের ভালোমানের খেলোয়াড়ও রয়েছে।’ সব প্রতিযোগিতায় টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত আর্জেন্টিনা। লিওনেল স্কালোনির এই দলকে খুবই পছন্দ কাকার।
এসি মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতা ব্রাজিলিয়ান প্লেমেকার বলেন, ‘আমি আর্জেন্টিনার এই দলকে খুব পছন্দ করি। তারা পরিণত
এবং দারুণ একজন কোচ আছে তাদের। মোদ্দাকথা, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুটো দলেরই বিশ্বকাপ জয়ের বড় সম্ভাবনা দেখছি আমি।’
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারে কোন দল? এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রাজিলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ২৯ গোল করা কাকা বলেন, ‘ফ্রান্স।
তারাই সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ। তারা আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। দারুণ সব খেলোয়াড় আছে দলটির।
স্পেন ও জার্মানির কথাও বলতে হবে। এরপর আমরা চোখ রাখতে পারি পর্তুগালে। তাদের দলটাও ভালো। আমরা দেখতে চাইছি ক্রিস্টিয়ানো (রোনালদো) সেখানে কেমন করে। এরপর বেলজিয়াম। চমৎকার দল থাকা সত্ত্বেও যারা ব্যর্থ হয়ে আসছে।’
চলতি বছর ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ছন্দে আছেন নেইমার। এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিউস জুনিয়র-রদ্রিগো, টটেনহ্যামের রিচার্লিসন, বার্সেলোনার রাফিনহা প্রত্যেকেই আছেন ফর্মে। তবে কাকা মনে করেন, বিশ্বকাপে নেইমারই হবেন ব্রাজিলের প্রধান তারকা।
ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য কাকা বলেন, ‘কাতারে ব্রাজিলের লিডার হবে নেইমার। তবে ভিনিসিউসের মতো খেলোয়াড় তার পাশে আছে, যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮তে নেইমার ছিল প্রধান তারকা।
তবে এখন আমাদের আছে ভিনি, রাফিনহা, রিচার্লিসন, অ্যান্টনি… যারা খুবই ভালোমানের খেলোয়াড়। উদাহরণস্বরূপ, ভিনিসিউস রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গত চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে গোল করেছে। নেইমারের ওপর থেকে চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে সে। দলের স্বার্থে যা খুবই ইতিবাচক দিক।’
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন