ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণে সরিষা চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা
কচি-কচি সবুজ বর্ণের সরিষা গাছের গালিচায় যেন ছেয়ে গেছে নল্লির
বিলের বিস্তীর্ণ শত শত বিঘা জমি। এ বিলে নির্ধারিত ফসল রোপণের
আগেই বাড়তি ফসল হিসেবে ঘরে উঠবে সরিষা।
ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণের পাশাপশি চাষীদের চোখে স্বচ্ছলতার স্বপ্ন।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সরিষার চারা যেন সবুজ গালিচা হয়ে ঢেকে দিচ্ছে নল্লির বিল নামের জলাভূমিটির আদিগন্ত প্রান্তরকে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ওই বিল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,
চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে বন্যা না আসার কারণে এখানকার
মাটির রস কমে গিয়ে অনেক আগেই সরিষা চাষের উপযুক্ত হয়ে
গেছে। এ কারণে এবার বিপুল উদ্যমে সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যেই এখানে সাড়ে ৪শ’ বিঘা জমিতে বপণ করা হয়েছে সরিষা বীজ।
অনুকুল আবহাওয়ার কারণে আশাতীত পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ হবে এবার।
সরিষা চাষীদের সার,বীজ ও পরামর্শসহ সকল ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।
মহিমাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও নল্লির বিলের চাষী
জিয়াউল হক জানান, বিলের উপরের অংশের জমিতে আগে থেকেই
সরিষার চাষ করা হয়। এখানে তেমন কোন রাসায়নিক সার না দিয়েই
সরিষা চাষ করা হয়ে থাকে। বরং সরিষার শুকনো পাতা আর ফুল
ঝড়ে পড়ে বাড়তি জৈব সারের জোগান দেয় ইরি ধান চাষের জন্য।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ জানালেন,
উত্তরাঞ্চলে সরিষা চাষে এবার বিপ্লব বয়ে আনবে এই নল্লির বিল।
চলতি মৌসুমে এখানে প্রায় সাড়ে ৪শ’ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ
করা হয়েছে। চাষীরা বিপুল উৎসাহে সরিষা চাষে এগিয়ে আসায়
একফসলি জমির এই নল্লির বিলে এবার ৭শ’ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ
হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানকার উৎপাদিত সরিষা দেশের
ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণে এবার উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে।
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন