মেসির নকআউট ধাঁধা
বিশ্বকাপে গোল করাটাই অনেক কিছু। আর সেটা যদি নকআউটে হয়,
তাহলে তো কথাই নেই। লিওনেল মেসি এবারসহ মোট পাঁচটি
বিশ্বকাপ খেলছেন। কিন্তু একবারও নকআউট পর্বে গোলের
দেখা পাননি। তবে গোল না করলেও অ্যাসিস্ট রয়েছে।
যার মধ্যে ২০১০ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে একটি,
২০১৪ বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি আর
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে দুটি গোলে
অ্যাসিস্ট করেন। শুধু গোলটাই তাঁর কাছে ধাঁধার মতো
রয়ে গেল। আজ সেই ধাঁধা মেলানোর সুযোগ মেসির।
বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় আর্জেন্টিনা নামবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
তাদের জালে বল পাঠাতে পারলেই ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান।
২০০৬ ছিল মেসির প্রথম বিশ্বকাপ। সেবার প্রথম ম্যাচে
আইভরিকোস্টের বিপক্ষে খেলেননি তিনি। গ্রুপ পর্বের
দ্বিতীয় ম্যাচেও পুরো সময় খেলার সুযোগ হয়নি। ১৬
মিনিট ছিলেন মাঠে। এ সময়েই এক গোলের সঙ্গে করেন
একটি অ্যাসিস্ট। গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে আর্জেন্টিনা
নামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ম্যাচটিতে ৭০ মিনিট মাঠে
ছিলেন মেসি। কিন্তু মেসি দূরে থাক, ম্যাচটাই গোলশূন্য ড্র
হয়। এর পর গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে শেষ ষোলোতে ওঠে
আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা পায় মেক্সিকোকে।
আর ৩৬ মিনিট সেকেন্ড স্ট্রাইকার হিসেবে মাঠে থেকে
জালের দেখা পাননি মেসি। যদিও আর্জেন্টিনা ম্যাচটায়
জয় পায়। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা জার্মানির মুখে পড়ে।
কিন্তু দুর্ভাগ্য, ওই ম্যাচে সাইডবেঞ্চে বসেই কাটাতে হয় ৩৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে।
এর পর ২০১০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে কোয়ার্টার পর্যন্ত যায় আর্জেন্টিনা।
কিন্তু মেসি প্রতি ম্যাচে মাঠে থাকলেও পাননি কোনো গোল।
সেবার তাঁর ব্যক্তিগত প্রাপ্তি মেক্সিকোর বিপক্ষে শেষ ষোলোতে
এক গোলে অ্যাসিস্ট করা। ২০১৪ বিশ্বকাপ ছিল মেসির জন্য
দারুণ একটা আসর। ব্রাজিলের মাটিতে দাপট দেখিয়ে সেবার
ফাইনাল পর্যন্ত যায় আকাশি-সাদারা। মেসিও ছিলেন দারুণ ছন্দে।
সেবারও গ্রুপ পর্ব পেরোতেই তাঁর উল্টো যাত্রা। যে মেসি গ্রুপ
পর্বের তিন ম্যাচে করেন চার গোল। তিনি পরের চার ম্যাচে একটিবার
প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেননি। শুধু শেষ
ষোলোতে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাসিস্ট করেছিলেন।
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সময়টা ভালো যায়নি।
চার বছর আগের দলটি আর সেই দলটি রাত-দিন তফাত ছিল।
এর আগে অনেকটা মেসির কাঁধে চেপেই মূল পর্বে খেলার
টিকিট কাটে তারা। এর পর মূল আসরে শেষ ষোলোতে
ফ্রান্সের কাছে হেরে নিতে হয় বিদায়। ওই ম্যাচে মেসি
পারেননি গোল করতে। তবে দুটি গোলে অ্যাসিস্ট করেছিলেন।
ক্লাবে তাঁর গোল ভূরিভূরি, দেশের হয়েও এখন ধীরে ধীরে ঘুরছে সেই চাকা।
কিন্তু বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে পা দিতেই কেমন জানি
বদলে যান তিনি। এবার কি মেসি পারবেন বৃত্তটা ভাঙতে।
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন