সহজ ক্যাচ ড্রপে রিজওয়ানকে জীবন দান, ফিল্ডিং মিসে বাউন্ডারি হজম। পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের খরুচে বোলিং— সব মিলিয়ে হাতে থাকা এক ম্যাচ পাকিস্তানকে দিয়ে দিল বাংলাদেশ।
৩২-এ জীবন পাওয়া রিজওয়ান খেললেন ৬৯ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস।
বৃহস্পতিবার ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের ষষ্ঠ ম্যাচে এক বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়েছে পাকিস্তান।
ম্যাচে বোলিং ইনিংসটি ভালোই শুরু করেন বাংলাদেশের পেসাররা। দুই পেসার তাসকিন ও হাসান
মাহমুদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ২ ওভারে মাত্র ৬ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। কিন্তু পরে আর
বাংলাদেশি বোলারদের সেভাবে সমীহ করেননি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ৭৫ বলে শতরানের জুটি
গড়েন বাবর-রিজওয়ান।
ত্রয়োদশ ওভারে পেসার হাসান মাহমুদের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। ৫৫ রানে বাবর
ও শূন্য রানে হায়দার আলিকে ফেরান তিনি।
কিন্তু তাতে আর কাজ হয়নি। একপ্রান্ত ধরে রেখে ১৮.৫ ওভার পর্যন্ত খেলে ৬৯ রানে আউট হওয়ার আগে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান রিজওয়ান।
২০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মোহাম্মদ নেওয়াজ।
তবে ম্যাচসেরার পুরস্কার গেছে রিজওয়ানের হাতেই। আর পুরস্কার নিতে এসে বাংলাদেশি বোলারদের প্রশংসা করলেন তিনি।
এ পাকিস্তানি উইকেটকিপার-ব্যাটার বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা জিতেছি। তবে বাংলাদেশের বোলারদের কৃতিত্ব দিতে চাই। তারা সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। আমরা প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট হারাতে চাইনি। জয়ে মোহাম্মদ নওয়াজকে কৃতিত্ব দিতে চাই আমি ।
কারণ সে শেষ পর্যন্ত খেলে ম্যাচকে সহজভাবে বের করে নিয়েছে। আসলে নওয়াজের ইনিংসেই গতি পাল্টে যায়।
ফাইনালের বিষয়ে রিজওয়ান বলেন, ‘স্পষ্টতই এমন জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। কাল ফাইনাল। নিউজিল্যান্ড ঘরের মাঠে খেলছে। কিন্তু (জয়ের লক্ষ্যে) আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে।’
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন