যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য নিয়ে তুরস্কের পাশেই আছে : ব্লিঙ্কেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তুরস্ককে আরো সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন
এবং বলেছেন যে ওয়াশিংটন দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা নিয়ে আঙ্কারার পাশে থাকবে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) একটি হেলিকপ্টারে চড়ে তিনি ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলো সফর করেছেন।
এ সময় তিনি এই অঞ্চলের জন্য আরো ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া।
এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো লাখ লাখ মানুষ।
ব্লিঙ্কেনের ঘোষিত অতিরিক্ত সহায়তার মধ্যে রয়েছে জরুরি শরণার্থী ও অভিবাসন
তহবিলে ৫০ মিলিয়ন এবং মানবিক সহায়তায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দুই বছর আগে দায়িত্ব নেয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যাটো মিত্র তুরস্কে প্রথম সফর করছেন।
ব্লিঙ্কেন জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের পর রোববার আদানার কাছে ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছান।
তিনি তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সাথে হেলিকপ্টার থেকে তুরস্কের
হাতায় প্রদেশ সফর করেন। তিনি মার্কিন এবং তুর্কি পরিষেবা কর্মীদের
সাথে সাথে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুর্কি সামরিক পরিবারের সাথে দেখা করেন।
হেলিকপ্টার সফরের পর শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ,
ভবনের সংখ্যা, অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা, ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির সংখ্যা
দেখে বলেন, এটি পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাতে যাচ্ছে।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যাদের প্রয়োজন তাদের
সাহায্য পাওয়া, তাদের শীতকালীন সহযোগিতা করা এবং তাদের স্বনির্ভর করা।’
ব্লিঙ্কেন সোমবার তুর্কি কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার জন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় যাবেন।
এ সময় তিনি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে একটি বৈঠক করবেন।
ভূমিকম্পের প্রভাবের পাশাপাশি, ব্লিঙ্কেন ন্যাটোতে যোগদানের জন্য সুইডেন
এবং ফিনল্যান্ডের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। যা তুরস্ক বিলম্বিত করছে।
সূত্র : রয়টার্স
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন