• বৃহঃ. মার্চ ৩০, ২০২৩

যে ছবি উসকে দিচ্ছে নস্টালজিয়া

নভে ৯, ২০২২
নস্টালজিয়া

যে ছবি উসকে দিচ্ছে নস্টালজিয়া

গত ২৮ অক্টোবর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে একটি জার্মান সিনেমা। মুক্তির পরই বিশ্বজুড়ে পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

চলতি সপ্তাহেও ওটিটি প্ল্যাটফর্মটির অ-ইংরেজিভাষী সিনেমার তালিকার শীর্ষে আছে ছবিটি।

সেই ছবি নিয়ে বাংলাদেশেও চলছে ব্যাপক আলোচনা। মুগ্ধ দর্শকদের অনেকেই ফেসবুকে লিখেছেন, ছবিটি তাঁদের নস্টালজিয়া উসকে দিয়েছে।

ফিরিয়ে নিয়ে গেছে সেই আশির দশকে।

আলোচিত ছবিটির নাম ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’। কি, চেনা চেনা লাগছে?

১৯৮৬ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে বের হয় একই নামের বইটি। এরিখ মারিয়া রেমার্কের বইটি অনুবাদ করেছিলেন জাহিদ হাসান।

ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছিল সেই বই। পরে প্রথমা প্রকাশন থেকে একই বই প্রকাশিত হয় শেখ আবদুল হাকিমের অনুবাদে।

ফেসবুকে অনেকেই লিখেছেন, রেমার্কের বইটির অনুবাদ পড়েই তাঁরা বড় হয়েছেন।

নেটফ্লিক্সের ছবিটি দেখে তাঁরা যে নস্টালজিয়ায় ভুগবেন, সে আর আশ্চর্য কী!

প্রথমা প্রকাশন থেকে একই বই প্রকাশিত হয় শেখ আবদুল হাকিমের অনুবাদে

প্রথমা প্রকাশন থেকে একই বই প্রকাশিত হয় শেখ আবদুল হাকিমের অনুবাদে

‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’-এর এটিই অবশ্য প্রথম চলচ্চিত্রায়ণ নয়। উপন্যাসটি থেকে প্রথম সিনেমা হয় বই প্রকাশের দুই বছর পরই ১৯৩০ সালে।

লুইস মাইলস্টোন পরিচালিত ছবিটি দুই শাখায় অস্কার জেতে। ১৯৭৯ সালেও তৈরি হয় একই নামের টেলিভিশন সিনেমা।

তবে এবারের ছবিটির প্রেক্ষাপট আলাদা। কারণ, চলতি বছর মুক্তি পাওয়া ছবিটি তৈরি হয়েছে জার্মানি থেকে, যা ছিল রেমার্কের নিজের দেশ।

রেমার্ক নিজে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, সেই অভিজ্ঞতা থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা উপন্যাসটি পায় ভিন্ন মাত্রা।

বইটি প্রকাশের মাত্র দেড় বছরের মধ্যে ২২টি ভাষায় অনূদিত হয়, বিক্রি হয় ২৫ লাখ কপির বেশি।

‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’-এর এটিই অবশ্য প্রথম চলচ্চিত্রায়ণ নয়

‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’-এর এটিই অবশ্য প্রথম চলচ্চিত্রায়ণ নয়

এবার নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া ছবিটি প্রসঙ্গে আসা যাক। এডওয়ার্ড বারগার পরিচালিত ছবিটি

নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া সবচেয়ে বড় বাজেটের জার্মান সিনেমা। চলচ্চিত্র সমালোচকেরা বলছেন,

রেমার্কের উপন্যাসটি ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য হওয়া অনেক জার্মান তরুণের বয়ান।

যুদ্ধের ভয়াবহ বাস্তবতা, অসহায়ত্ব তুলে ধরে রেমার্ক মূলত সেই সময়ের তরুণদের চুরি যাওয়া যৌবনের কথাই বলেছেন।

সিনেমাটিতে সেটা ঠিকভাবেই উঠে এসেছে।

নেটফ্লিক্সে মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহ পার হয়েছে, এর মধ্যেই ছবিটির আইএমডিবি রেটিং ৭.৯।

যুদ্ধবিরোধী ছবিটি রটেন টোমাটোজে ৯১ শতাংশ তাজা রেটিং পেয়েছে। অনেকে এটিকে নেটফ্লিক্সের সেরা যুদ্ধবিরোধী সিনেমার তকমাও দিয়েছেন। জার্মানি ছবিটিকে সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগে মনোনয়নের জন্য অস্কারেও পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশি অনেক দর্শক ছবিটি খুব পছন্দ করেছেন, আবার কেউ বলছেন, ১৯৩০ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিই ভালো ছিল। কেউ আবার সিনেমার সূত্র ধরে ভাগাভাগি করেছেন আশির দশকের বইটি পড়া নিয়ে নানা স্মৃতি।

যে ছবি উসকে দিচ্ছে নস্টালজিয়া

‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জার্মান-স্প্যানিশ অভিনেতা দ্যানিয়েল বুয়ো। ছবিতে তাঁর অভিনয় যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনই প্রশংসিত হয়েছে ছবিটির কারিগরি দিক। ২০২০ সালে পরিচালক ছবিটি নির্মাণের ঘোষণা দেন। গত বছর চেক প্রজাতন্ত্র প্রাগে শুরু হয় শুটিং।

আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন