রোনালদোর কারণেই পর্তুগালের সম্ভাবনা দেখছেন ফিগো
বিশ্বকাপে পর্তুগালের সেরা সাফল্য দুইবার সেমিফাইনাল খেলা।
তবে কাতার বিশ্বকাপে শেষ চারের গণ্ডি পেরিয়ে দলটির শিরোপা
জেতার সামর্থ্য আছে বলেই মনে করেন সাবেক পর্তুগিজ কিংবদন্তি লুইস ফিগো।
এর একটি কারণ তো অবশ্যই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
৩৭ বছর বয়সী এই তারকার এটিই হয়তো শেষ বিশ্বকাপ।
শেষটুকু অবশ্যই রাঙিয়ে তুলতে চাইবেন তিনি। তবে রোনালদোর
পাশাপাশি পর্তুগাল দলে এবার আরও কয়েকজন তারকা আছেন, যাঁদের ওপর ভরসা করা যায়।
ম্যানচেস্টার সিটির বের্নার্দো সিলভা, জোয়াও কানসেলো, রুবেন দিয়াজ,
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ব্রুনো ফার্নান্দেজ, এসি মিলানের রাফালেয়
লিয়াওদের নিয়ে বেশ সমীহ জাগানিয়া স্কোয়াড এবার পর্তুগালের।
ফিগোর মতে, স্কোয়াডের গভীরতা পর্তুগালকে অনেকখানি এগিয়ে রাখছে।
তবে সবকিছুর ওপর রোনালদোর উপস্থিতিকেই বড় করে দেখছেন
২০০৬ বিশ্বকাপের অধিনায়ক, ‘আমাদের স্কোয়াড যথেষ্ট শক্তিশালী।
ছেলেরাও নিজ নিজ ক্লাবে দুর্দান্ত ছন্দে আছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার,
আমাদের একজন ক্রিস্টিয়ানো আছে। নিজের শেষ বিশ্বকাপকে
সে স্মরণীয় করে রাখতে চাইবে। গন্তব্যে পৌঁছানোর (ফাইনালে ওঠার) খুব ভালো সম্ভাবনা আছে।’
স্কোয়াড ভালো হলেও আগে কখনো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার
অভিজ্ঞতা নেই পর্তুগালের। অথচ বড় মঞ্চে খেলার পূর্ব-অভিজ্ঞতাই
ব্রাজিল-জার্মানির মতো দলকে সব সময়ই কিছুটা এগিয়ে রাখে।
বিশ্বকাপ ফাইনাল না খেলার সেই অনভিজ্ঞতা কি রোনালদোদের মানসিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে রাখবে না?
স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকে (পিএমজি) দেওয়া সাক্ষাৎকারে
ভিন্ন কথাই বলেছেন ফিগো, ‘দেখুন, একবার মাঠে নেমে গেলে কেউ
অতীত মনে রাখে না। খেলতে নামার লক্ষ্যই হলো জয় নিয়ে ফেরা।
ইতিহাস তখনই মাথায় আসে, যখন খেলা শেষ হয়। এটা ঠিক যে
আমরা কখনো ফাইনালে উঠতে পারিনি। ১৯৬৬ ও ২০০৬ সালে
সেমিফাইনালে খেলেছি। তৃতীয় ও চতুর্থ হওয়ার সান্ত্বনা নিয়ে সন্তুষ্ট
থেকেছি। তবে এই বিশ্বকাপ এসব বিবেচনায় আসবে না।’
পিএমজিতে দেওয়া এই সাক্ষাৎকার বাংলাদেশে শুধু প্রথম আলোতেই প্রকাশিত হচ্ছে।

ফিগোর শেষ বিশ্বকাপেই অভিষেক হয়েছিল রোনালদোর। এরপর গত
দেড় দশকে নিজেকে ফুটবল ইতিহাসের অংশে পরিণত করেছেন তিনি।
লিওনেল মেসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারফর্ম করে গেছেন বছরের পর
বছর। বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব ব্যালন ডি’অরও জিতেছেন পাঁচবার।
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন