চলছে শুষ্ক মৌসুম। অথচ সামান্য পানিতেই রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানির কারণে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।
ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরাও। কেউ কেউ দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতাকে।
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা সদর নজিপুর পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় চারমাথা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধান সড়কে এভাবে জমে থাকা পানি নিস্কাশনের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়
পথচারীদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছেই। ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি পাড়ি দিয়ে পথচারীদের যাতায়াত
করতে হওয়ায় তাদের চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। দিনের পর দিন রাস্তায় পানি জমে থাকায় ১৫/২০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নজিপুর জিরো পয়েন্ট চারমাথা বাসষ্ট্যান্ডের সাপাহার রোডে দেখা যায়, প্রায় ৩শ’গজ এলাকা জুড়ে রাস্তায় পানি জমে আছে।
নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের এসব পানি পাড়ি দিয়েই মানুষ চলাচল করছে। ওই ৩শ’গজ এলাকার মধ্যে রয়েছে
ওষুধ, স্টেশনারীজ, গার্মেন্টস, সাইকেল, মুদিখানা এবং হার্ডওয়ারসহ ২০/২৫টি দোকান।
মুদি দোকানি জুয়েল জানান, দোকানের সামনে ময়লা পানি জমে থাকায় দোকানে ক্রেতা আসছে না। এ কারণে তার বেচাকেনা কমে গেছে।
একই অভিযোগ করে ষ্টেশনারীজ দোকানী রাজ্জাক বলেন, রাস্তার জমে থাকা পানির কারণে ক্রেতা দোকানে না এসে অন্য দোকানে গিয়ে মালামাল কিনছে।
এ কারণে তার দৈনিক বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে আসায় তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
ওষুধ ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী হাসান শাহরিয়ার বলেন, বাসষ্ট্যান্ডের মতো জিরো পয়েন্টে শুষ্ক
মৌসুমে পানি জমে থাকার ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। এজন্য পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে
দায়ী করে তিনি বলেন, মেয়র সাহেব প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না।
অবিলম্বে সড়ক থেকে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে নজিপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য সহকারী লুৎফর রহমান জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগের
প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেয়রকে কয়েকবার অবগত করানো হয়েছে।
পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরী মুঠোফোনে গনমাধ্যমকে বলেন, ওই জায়গার আশেপাশের কয়েকটি
দোকানের কারণেই মূলত এই সমস্যা। বিশেষ করে ধানসিঁড়ি ও আল মদিনা খাবার হোটেল তাদের
নোংরা ও বজ্র ফেলে এই রাস্তার ড্রেনে। এতে করে পানি নিস্কাশনে বাধাগ্রস্থ হয়। আমি তাদেরকে এ বিষয়ে
অনেকবার সতর্ক করেছি। তবে আমি আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে।
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন