সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে নক আউট নিশ্চিত ব্রাজিলের
কাতার বিশ্বকাপে নক আউট নিশ্চিত করতে নিজেদের দ্বিতীয়
ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এক গোলের জয় পেয়েছে টুর্নামেন্টের
হট ফেভারিট ব্রাজিল। সোমবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময়
রাত ১০টায় দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ মাঠে নামবে দু’দল।
প্রথমার্ধে আক্রমন-পাল্টা আক্রমণে খেলে ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড।
তবে কোন গোল না হলে গোলশূন্য সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দু’দল।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ডেড লক ভাঙ্গেন ক্যাসেমিরো।
তার করা গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে বাম প্রান্তে ফাউলের শিকার হন ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
তবে ফ্রি কিক কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল। ম্যাচের ৫ মিনিটে
ডিফেন্সের ভুলে বিপদের সম্ভাবনা তৈরী হলে তা ক্লিয়ার করে দেন মার্কুইনহোস।
ম্যাচের ৬ মিনিটে কর্নার পায় সুইজারল্যান্ড। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
ম্যাচের ১২ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলের ভালও
সুযোগ তৈরী করলেও তা আটকে দেন সুইস ডিফেন্ডাররা।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় সুইজারল্যান্ড।
তবে ফ্রি কিক থেকে সুবিধা করতে পারেনি সুইসরা।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে বাম দিক থেকে পাকুয়েতার ক্রস থেকে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোল বঞ্চিত হয় ব্রাজিল।
ম্যাচের ২১ মিনিটে আবারও সুযোগ আসে ব্রাজিলের সামনে
তবে তা থেকে কোন বিপদ ঘটাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে
অ্যাটাকে যায় সুইজারল্যান্ড। কিন্তু তা আটকে যায় ব্রাজিল ডিফেন্সে।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে রাফিনহার বাড়ানো বলে পা
ছোঁয়ান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তবে তা অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমার।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে গুছিয়ে আক্রমণে যায় ব্রাজিল। ডি বক্সের
বাইরে থেকে রাফিনহার নেওয়া শট নিজের গ্লোভসে নেন সোমার।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে গুছিয়ে আক্রমণে গেলেও গোলমুখে শট করতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল।
সেখান থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় সুইজারল্যান্ড। তবে তা
আটকে দেন এডার মিলিতাও। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে গোছানো
আক্রমণ থেকে ডি বক্সের বাইরে থেকে গোলমুখে শট করে এডার মিলিতাও।
তবে তা ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বল বাড়ান রাফিনহা।
তবে তা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করে ডিফেন্ডাররা। কর্নার থেকে
আবারও কর্নার পায় ব্রাজিল। কর্নার থেকে সুযোগ তৈরী করলেও তা থেকে গোল করতে পারেনি ব্রাজিল।
ম্যাচের অতিরিক্ত মিনিটে কর্নার পায় সুইজারল্যান্ড। তবে তা কাজে
লাগাতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত কোন গোল না হলে
গোলশূন্য থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড।
বিরতি থেকে ফিরেই আক্রমণে যায় ব্রাজিল। তবে তা ক্লিয়ার করে
দেন সুইস ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের ৫০ মিনিটে রদ্রিগোকে ফাউল
করার কারণে ফ্যাবিয়ান রিডারকে হলুদ কার্ড দেখান রাফারি।
ম্যাচের ৫২ মিনিটে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন ফ্রেড।
ম্যাচের ৫৩ মিনিটে আক্রমণে যায় সুইজারল্যান্ড। ডান দিকে
সাজানো আক্রমণ দারুণ ডিফেন্সে রুখে দেন থিয়াগো সিলভা।
এরপর ম্যাচের ৫৪ মিনিটে কর্নার আদায় করে সুইজারল্যান্ড।
রুবেন ভ্যারগাসের নেওয়া কর্নার সহজেই ক্লিয়ার করে দেন অ্যালিসন বেকার।
ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ডিফেন্সের ভুলে বিপদের শঙ্কা জেগেছিল।
তবে তা ক্লিয়ার করে দেন অ্যালিসন বেকার। ম্যাচের ৫৭
মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয় রিচার্লিসন।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে সুইজারল্যান্ড।
তবে তা আটকে দেয় ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে গোলের
দেখা পায় ব্রাজিল। ভিনিসিয়াস জুনিয়র সুইজারল্যান্ডের জালে বল
জড়ালেও তা অফ সাইডের কারণে বাতিল করে দেন রেফারি।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে ফাউলের শিকার হন
ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তবে তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে আবারও আক্রমণে গেলেও তা থেকে গোল বের
করতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে ফ্রি কিক
পায় ব্রাজিল। তবে রদ্রিগোর নেওয়া সেই ফ্রি কিক চলে যায় পোস্টের অনেক ওপর দিয়ে।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটে অ্যাটাকে যায় সুইজারল্যান্ড। তবে তা থেকে কোন
বিপদ ঘটাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৮১ মিনিটে কর্নার পায় ব্রাজিল।
তবে তা থেকে গোল পেতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল। তবে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে
গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। রদ্রিগোর পাসে ডি বক্সের ভেতর থেকে
অসাধরণ শটে বল সুইজারল্যান্ডের জালে জড়ান ক্যাসেমিরো। তার গোলে ম্যাচে প্রথম লিড পায় ব্রাজিল।
ম্যাচে এগিয়ে গিয়ে বেশ কিছু আক্রমণ করে ব্রাজিল। তবে তা থেকে
গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল
না হলে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
আর এই জয়ের ফলে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করলো ব্রাজিল।
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন