সুদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ঘোষণা
সোমবার যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেছিল সুদানের যুযুধান দুই পক্ষ। মঙ্গলবার তা
অমান্য করেই দুপুর পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে গেছে। তবে বিকেলের পর থেকে
ধীরে ধীরে লড়াইয়ের তীব্রতা কমেছে। আকাশে এখনো যুদ্ধবিমান ঘুরছে।
মাঝে মধ্যে দু-একটি মর্টারের শব্দও পাওয়া যাচ্ছে। তবে আগের চেয়ে তা
অনেক কম। এই পরিস্থিতির মধ্যেই দ্রুত বেসামরিক মানুষের কাছে ত্রাণ
পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র সুদানের জন্য ২৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এই অর্থ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কাছে পৌঁছে দেয়া হবে,
যারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করে। প্রায় দশ লাখ মানুষ সুদানে যুদ্ধের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া। তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এদিকে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর প্রধান
এবং বিদ্রোহী প্যারামিলিটারির প্রধানকে জানানো হয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি
চুক্তি ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
সাহায্য পৌঁছাবে?
রেডক্রস জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বহু মানুষ ঘর হারিয়ে পার্শ্ববর্তী চাঁদের
জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই সেই জঙ্গলে বৃষ্টি শুরু হবে।
আর তা শুরু হলে জঙ্গলের ওই জায়গা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। না খেতে
পেয়ে মৃত্যু হবে অসংখ্য মানুষের। ফলে দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুদানের প্যারামিলিটারি প্রধান জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো সেনা
বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তার সেনার সাথে লড়াই হচ্ছে দেশের সেনাপ্রধান
জেনারেল আবদেল ফাতাহ বুরহানের। কোনো অংশই যুদ্ধ থামাতে রাজি নয়।
দাগালো জানিয়েছেন, দেশের ক্ষমতা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
এরইমধ্যে রোববার সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় লিখিত
যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে দুই দেশের। দুই তরফই সাত দিন যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরও আপডেট নিউজ জানতে ভিজিট করুন