• সোম. জুন ৫, ২০২৩

১৯৫৮-১৯৬২ বিশ্বকাপ: ব্রাজিল আধিপত্যের সূচনা

সেপ্টে ২৩, ২০২২
‘দ্য পেলে শো’

১৯৫৮-১৯৬২ বিশ্বকাপ: ব্রাজিল আধিপত্যের সূচনা

পেলের ম্যাজিক শুরু হয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের বিপক্ষে গোলের খাতা খোলেন পেলে।

যদিও তাঁর উদ্‌যাপনের কারণে ইউরোপিয়ানদের কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু তা নিয়ে থোড়াই কেয়ার করতেন পেলে। সেমিফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা জুস ফন্তেনের ফ্রান্স।

আর সেই ফ্রান্সের বিপক্ষেই হ্যাটট্রিক করে বসেন পেলে। হয়ে যান বিশ্বকাপের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ হ্যাটট্রিক করা ফুটবলার।

ব্রাজিল আবারও ফাইনালে।স্টকহোমের ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি স্বাগতিক সুইডেন। কিন্তু ঝামেলা বাধে জার্সি নিয়ে।

দুই দলেরই জার্সির রং হলুদ। টসে হেরে হলুদ জার্সির মায়া ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে। শেষ মুহূর্তে এসে  একজন পরামর্শ দেন তাদের কুখ্যাত

সাদা জার্সি পরে মাঠে নামার। কিন্তু মুখের কথা মুখেই থেকে যায়, সাদা জার্সির পরিকল্পনা বাদ পড়ে যায় তালিকা থেকে।

ব্রাজিল বেছে নেয় তাদের পুরোনো অ্যাওয়ে জার্সি—নীল।

স্বাগতিক হওয়ার ফায়দা নিতে প্রস্তুত সুইডেন মাঠের পাশে রেখেছিল চিয়ারলিডার। যাতে ব্রাজিল দলের খেলায় বিঘ্ন সৃষ্টি করা যায়।

কিন্তু ব্রাজিল দলের অভিযোগে তা প্রত্যাহার করা হয়।ম্যাচ শুরুর চার মিনিটের মাথায় সুইডেনকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক নিলস লাইদহোম।

সুইডিশদের আনন্দ স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ৫ মিনিট। ৯ মিনিটে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান ভাভা। ৩২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিনি।

২-১ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধ। আর এরপর শুরু হয় ‘দ্য পেলে শো’, তর্কাতীতভাবে বিশ্বকাপ ফাইনালের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স।

ম্যাচের ৫৫ মিনিটে প্রথম ম্যাজিক দেখান পেলে। এরপর তার বানিয়ে দেওয়া বল থেকে ৬৮ মিনিটে গোল করেন মারিও জাগালো।

আর সুইডেনের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন পেলে নিজেই। ৯০ মিনিটে তাঁর করা গোলে ফাইনালের বাঁশি বাজে ৫-২ গোলে। প্রথমবারের

মতো বিশ্বকাপ শিরোপা স্পর্শ করে ব্রাজিল।স্টকহোমের রাসুন্দা স্টেডিয়ামে সেদিন ছিল পিনপতন নীরবতা। এমন নীরবতার সম্মুখীন ব্রাজিল

আগেও হয়েছে। নিজেদের মাটিতে, নিজেদের খেলোয়াড়দের ভুলে নিজেদের দর্শকদের সামনে শিরোপা হাতছাড়ার গল্পটা তাদের দিয়েই লেখা হয়েছিল।

সে গল্প পেছনে ফেলে নতুন শুরু স্বপ্ন দেখার সূচনা ছিল ১৯৫৮ বিশ্বকাপ। তবে এ তো ছিল কেবল শুরু।