আগামী ১৭ই জুন সোমবার বাংলাদেশে পালিত হবে ঈদুল আজহা। তাই রাজধানীসহ সারাদেশে জমতে শুরু করেছেন পশুরহাট। রাজধানীতে প্রস্তুত হচ্ছে কোরবানীর পশুর হাট। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।খামারি এবং ইজারাদাররা বলছেন ১৩ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি শুরু হবে।
রাজধানীর মেরাদিয়া,পুরান ঢাকার ধোলাইখাল, যাত্রাবাড়ীর কাজলা-শনির আখড়া ও মতিঝিলেন গোপীবাগ পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পিকআপভ্যানে করে হাটে পশু নিয়ে আসতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। যার যার অবস্থান অনুযায়ী পশু নিয়ে আসছেন। দয়াগঞ্জ মোড় থেকে কাঠেরপুল রোডে পশুর অধিক্য বেশি দেখা গেছে। এদিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের পাশে শারি শারি গুরু-ছাগল বেঁধে রাখা হয়েছে। তবে বেচাবিক্রি এখনও জমে উঠেনি।
রাজধানীতে ঈদের ২/৩ দিন আগে বিক্রি হয় কোরবানির পশু। এদিকে শেষ মুহূর্তে হাট প্রস্তুতিতে কাজ করছেন ইজারাদাররা। বাঁশ বেঁধে বেড়া তৈরি করছেন। বিদ্যুতের কাজও চলছে। বৃষ্টির নামলে প্রস্তুতি হিসেবে অনেক জায়গায় ছাওনি টাঙানো হয়েছে। এদিকে পশুর হাটের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় কিছুটা যানজট দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইজারাদার বলেন, সব হাটেই রাস্তা খুঁড়ে বাঁশের খুঁটি বসানো হয়। তাই একটু সমস্যা হয় গাড়ী চলাচলে।
যানজট নিরসনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত ভলান্টিয়ার আছেন। তারা প্রস্তুত রয়েছেন যেন যানজট না হয়।
পশু দেখতে আসতে শুরু করেছেন সাধারণ লোকজন। বিশেষ করে কিশোর-তরুনরা। কেউ কেউ গরুর দাম জিজ্ঞাসা করছেন। তারা ট্রাক থেকে গরু নামানো দেখছে। অনেকে দলবেঁধে হাট ঘুরে ঘুরে গরু দেখছে। বড় আকারের গরুর সামনে জটলা বেধে দাড়িয় থাকছেন
চুয়াডাঙ্গা থেকে গরু নিয়ে সোমবার সকালে হাটে এসেছেন মো. রমজান নামে এক ব্যবসায়ী। ক্রেতা না থাকায় বসে বসে অলস সময় পার করছেন। সহযোগীসহ গরুর দেখভাল করছেন।
জানতে চাইলে রমজান বলেন, ৩০ টি গরু নিয়ে এসেছি। ভালো দামে বিক্রি হবে এমন আশা করছেন তিনি।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের দুই তিনদিন আগে ঢাকায় সাধারণত পশু বিক্রি পুরোদমে শুরু হয়। এখন যারা হাটে আসছেন তাদের বেশির ভাগই ঘুরে ঘুরে পশু দেখছেন। দাম জানছেন। তবে দামাদমী করছেন না।
ব্যবসায়ীরা আশা করছেন বেচাবিক্রি ভালো হবে।
Leave a Reply