বিজিএমইএর সঙ্গে বৈঠকে পোশাক ক্রেতারা নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট চাইলেন
বিশ্বব্যাপী পোশাকের খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতার কারণে। শিপমেন্ট করতে দেরি হলেও বাংলাদেশের পোশাক খাতের কোনো অর্ডার বাতিল করবে না।
তারা স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকদের সময় মতো পোশাক পাঠানোর নিশ্চিয়তা চায়। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা চালু রাখতে বলছেন। গতকাল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি এস এম মান্নান কচির সঙ্গে বৈঠকে তারা এসব কথ বলেন রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে এস এম মান্নান কচি
সাংবাদিকদের বলেন,বাংলাদেশ থেকে পোশাকের অর্ডার বাতিল করা হবে না বলে বায়ার্স ফোরাম নিশ্চয়তা দিয়েছে। এ সময় বায়ার্স ফোরামের কাছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন,গত কয়েক দিন ছাত্র আন্দোলনে পোশাক কারখানাসহ দেশের সরকারি এবং বেসরকারি অফিস,বন্দর ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। সেই বিবেচনায় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো পণ্যে মূল্য ছাড় এবং এয়ার শিপমেন্ট চাইবে না বলেও আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় বায়ার্স ফোরাম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আগামীতে যেন ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক ও চালু থাকে সেই নিশ্চয়তা চেয়েছে বায়ার্স ফোরাম। এস এম মান্নান কচি বলেন, পোশাকশিল্পের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখতে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিজিএমই এর পদক্ষেপগুলো ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসার পরিবেশ স্বাভাবিক করা, শিল্পে গতি ফিরিয়ে আনা ও বন্দর কার্যক্রমে যেন স্বাভাবিক গতি বজায় থকে, সে বিষয়ে আমাদের কর্মতৎপরতার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া শিল্পের গতি দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্দর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সার্বিক পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি বলে আশ্বস্ত করেছি। অনাকাক্সিক্ষত এই পরিস্থিতিতে পাঁচ দিন বন্ধের থকায় আমরা বেশ কিছু উৎপাদন এবং রপ্তানি হারিয়েছি, আমাদের বিপণন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে কারখানাগুলো আর্থিক এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, আমরা যখন টিকে থাকার জন্য চেষ্টা করছিলাম, ঠিক সে সময় এ রকম একটি পরিস্থিতি পোশাকশিল্পের জন্য বড় ক্ষতি। চলমান পরিস্থিতিতে কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার জন্য ক্রেতাদের আহ্বান জনানো হয়েছে। অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর ওপর যেন বাড়তি কোনো চাপ না পরে সে বিষয়ে আমি সব ক্রেতার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছি। বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply