অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক ভারত কখনো চায়নি বলে মন্তব্য করেছেন,জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন,স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ভারত বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারেনি। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে পানি বন্ধ রাখা আর বর্ষায় পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করা, সীমান্তে বাংলাদেশিদের পশুর মতো হত্যা কখনো বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকা হতে পারে না। আমরা কখনো ভারতকে আমাদের শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে মনে করি না। ভারতের শাসক গোষ্ঠী আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বারবার আঘাতের করছে এবং আমাদের সঙ্গে শত্রুর মত আচরণ করে আসছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে শনিবার শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, যাদের সাহায্যে আমরা স্বাধীন হয়েছি বলে প্রচার করা হয়, তারা দুটি কারণে আমাদের সহযোগিতা করেছে। তারা প্রথমত, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের কাছে ভারতের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেবার জন্যই পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে অস্ত্র,সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে। দ্বিতীয়ত, একদিকে সাগর তিনকে ভারত আর পেটের মধ্যে বাংলাদেশ। এই ভূমি পাকিস্তান থেকে আলাদা করতে পারলে, নিজের অঙ্গরাজ্যের মতো করে ব্যবহার করতে পারবে। এ দুটি কারণেই তারা আমাদের বন্ধু সেজেছে।
তিনি বলেন, একাত্তর এর ১৪ ডিসেম্বর তারা বেছে বেছে জাতির সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড কারা ঘটিয়েছে সেটি জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। এখনো সময় আছে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী জহির রায়হান একটি ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য কাজ শুরু করছিলেন। হঠাৎ করে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। আজ পর্যন্ত তার কিংবা তার ডকুমেন্টারির কোনো সন্ধান কেন পাওয়া যায়নি। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য জহির রায়হানের সেই ডকুমেন্টারি উদ্ধারের প্রয়োজন রয়েছে।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ডঃ শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অনন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের নায়েব আমির আব্দুস সবুর ফকিরসহ কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মু.দেলোয়ার হোসেন, মো. কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক নূর নবী মানিক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ফরিদুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, কামরুল আহসান হাসান, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বিডি-প্দিন/শআ
Leave a Reply